ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, রক্ত দিয়েছি। জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি, লালন শাহের আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য নয়। ভিনদেশি অপসংস্কৃতি বাস্তবায়নের জন্য নয়।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ঈদগাহ মাঠে গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেহেতু আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, রক্ত দিয়েছি, জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি এখানে লালনের আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য নয়, আমেরিকা-ভারতের অপসংস্কৃতি বাস্তবায়নের জন্য নয়। এসব চাপিয়ে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তা মানবে না। এই দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত আছে এই মাটি। শিক্ষা ও সংবিধান সংস্কারে যারা এসব চিন্তা লালন করে না, এর বাইরে বিচ্ছিন্ন কোনো চিহ্নিত ব্যক্তিদের আপনি শিক্ষা ও সংবিধান সংস্কারের এর জন্য যদি গ্রহণ করেন তা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।
আওয়ামী সরকারের আমলে আমরা স্বাধীন দেশে পরাধীন ছিলাম। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-বিপ্লবের পরে আমরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। এই অর্জন আমাদের অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। আর কোনও দুর্নীতিবাজ, খুনি, জুলুমবাজদের ক্ষমতায় নেওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে চরমোনাই পীর বলেন, প্রত্যেকটি সংস্কারে বাংলাদেশের আলেম সমাজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যোগ্য আলেম ছাড়া আপনারা কোনো কিছু সংস্কার করতে পারবেন না। যদি আমাদের ওপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চান তাহলে মনে করবেন ক্ষতি এই দেশের হবে, ক্ষতি এই জাতির হবে, মানবতার হবে। তাহলে আপনারাও সরকারের গদিতে থাকতে পারবেন না। তাই আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশটাকে গড়ি।
তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতার নামে ভারত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) বিরুদ্ধে কটূক্তি করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মামলা করতে হবে।
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ইসলামি আন্দোলন সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। যার প্রমাণ দেশবাসী দেখেছে। ৫ আগস্টের পর সারাদেশে বিভিন্ন মন্দির ও থানা পাহারা দিয়েছে নেতাকর্মীরা। এভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠন করবো। কোনো জুলুমবাজ, দুর্নীতিবাজদের হাতে আর ক্ষমতা দেওয়া হবে না।
ইসলামী আন্দোলনের গৌরনদী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক খানসহ অনেকে।