শনিবার (১ জুন) শেষ হয় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এরপর আজ মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা চলছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, প্রাথমিক ফলাফলে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৪ আসনে এগিয়ে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ‘আব কি বার, চারশ পার’ (এবারে চারশ ছাড়িয়ে যাব) স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য রেখেছিলেন।
বুথফেরত জরিপে নিউজ ২৪-টুডেজ চাণক্যের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, এবারের নির্বাচনে এনডিএ জোট ৪০০ আসনে জয়লাভ করবে। তাদের বুথফেরত জরিপে ত্রুটির মার্জিন ধরা হয়েছে ১৫টি আসন। সেক্ষেত্রে বিজেপি জোটের সর্বনিম্ন আসন সংখ্যা ৩৮৫টি এবং সর্বোচ্চ আসন হতে পারে ৪১৫টি। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের অনুমানও প্রায় একই ছিল। তারা এনডিএ জোটের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা ৩৭১ থেকে ৪০১ বলে জানায়।
আর ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বলেছিল, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এই জোট সর্বনিন্ম ৩৬১ এবং সর্বোচ্চ ৪০১ আসনে জিততে চলেছে।তবে বুথফেরত জরিপের করা ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী এই জোট যে রেকর্ড এত সংখ্যক আসন পাচ্ছে না তা এতক্ষণে স্পষ্ট হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, বিতর্কিত সেনা নিয়োগ এবং মোদির আক্রমণাত্মক এবং বিভাজনমূলক প্রচারণা দেশটির কিছু অংশে ভোটারদের বিচ্ছিন্ন করেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি। ক্ষমতায় যেতে মোদির তাই শরিকদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এবার অপ্রত্যাশিত পুনরুত্থান ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৯ আসনে এগিয়ে আছে দলটি, যা ২০১৯ সালের প্রায় দ্বিগুণ।