ঢাকা যেভাবে কমবে ঢাকার তাপ, জানালেন হিট অফিসার
যেভাবে কমবে ঢাকার তাপ, জানালেন হিট অফিসার
ডেস্ক রিপোর্ট
বার্তা বাজার
২৪ মে ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ণ
15
Shares
facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button
সবাই মিলে চেষ্টা করলে ঢাকার তীব্র তাপপ্রবাহ কমানো অসম্ভব কিছু নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নিযুক্ত চিপ হিট অফিসার বুশরা আফরিন
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তাপপ্রবাহের ঝুঁকি, এর কারণ ও প্রতিকার নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে ব্র্যাক। ব্র্যাাকের এই সেমিনারের উদ্দেশ্য, তাপপ্রবাহের বিজ্ঞান-নীতি-অনুশীলন সমন্বয় সম্পর্কে নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে অবগত ও সচেতন করা।
সেমিনার শেষে সাংবাদিকরা ঢাকার তাপমাত্রা কবে কমবে জানতে চাইলে বুশরা বলেন, ঢাকার তাপমাত্রা কমবে তখন, যখন পৃথিবীর তাপমাত্রা অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণ কমবে। এক মুহূর্তে শহরের তাপপ্রবাহ কমানো সম্ভব নয়। আবার আমরা সবাই চাইলে এটি অসম্ভব কিছু নয়।
তাপপ্রবাহে ঢাকার নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী জানিয়ে বুশরা আফরিন বলেন, তাপপ্রবাহে নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। এ তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে তাদের কোনো উপায় জানা নেই। আমাদের উচিত তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। ওই এলাকাগুলোতে তার সমাধান করা।
বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকা শহরে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে আমি তাপপ্রবাহ কমাতে আশাবাদী। আমরা ঢাকা উত্তরের তাপপ্রবাহের সমস্যাগুলো পয়েন্ট আউট করেছি। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো দিয়ে আমরা কাজ করছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার তাপপ্রবাহ নিয়েও কাজ করার আগ্রহ আছে জানিয়ে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, আমি চাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা নেওয়া হোক। আমি চাচ্ছি ঢাকা সাউথের জন্যও কাজ করতে। গরমের কারণে আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
ঢাকায় নগর বনায়ন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চিফ হিট অফিসার বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে বনানীতে নগর বনায়ন করতে চাই। যদিও এখন কাজটি প্লানিং পর্যায়ে আছে। বনানীতে যে জায়গায় নগর বনায়ন করা হবে, সে জায়গাটি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের। তাদের কাছ থেকে জায়গাটি অস্থায়ী বরাদ্দ পেতে ছয় মাস সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, একটি বনায়ন করতে অনেক কাজ করতে হয়। এখন কেমনে আসলে এটি বাস্তবায়ন করা যায় সেটা চেষ্টা করছি। পাশাপাশি কল্যাণপুরে আরেকটি নগর ভবন করা হবে। আর বনায়ন শুধু গাছ লাগাতে হবে বিষয়টি এমন নয়। গাছ লাগিয়ে এটির যত্ন নিতে হয়। কোনো একটা গাছ পড়ে গেলে সেটা কীভাবে উঠাতে, কোনো গাছে পোকামাকড় হলো সেটা কীভাবে বাঁচাবো তা জানতে হয়।