JuboKantho24 Logo

হঠাৎ বেড়েছে সর্দি-কাশি-জ্বর, নিরাময়ে কিছু ঘরোয়া উপায়

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো ঠান্ডাজনিত অনেক রোগের প্রকোপ বাড়ে। খুব বড় কোনো সমস্যা না হলে যার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, নিজে নিজেই সেরে যায়। কিন্তু এ বছর যেন এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। চারদিকে বেড়ে গিয়েছে জ্বর, গলাব্যথা, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতোন সমস্যা। নানা নিয়মকানুন মেনে বা ওষুধ খেয়েও মিলছে না শান্তি।

চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই বাড়তে থাকে এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়; যা এখনো চলমান। অধিকাংশ রোগীদের ঠান্ডা-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা ও জ্বর থাকে। হালকা মাত্রার ঠান্ডা-কাশি থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়েও অনেকেই ভুগছেন। জ্বরের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রার জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব রোগীদের সুস্থ্য হতে এবং কাশি ভালো হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসও লেগে যাচ্ছে। আর এ সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পরছেন নাক বন্ধের সমস্যা নিয়ে। যার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, ঠিকভাবে ঘুম হয় না। মাথা ধরে থাকে সারাক্ষণ।

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না। তার চেয়ে বন্ধ নাক খোলার জন্য ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

চলুন জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো করলে বন্ধ নাক খোলার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে-

আদা পুদিনার চা : এক কাপ পানিতে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন মিনিট পাঁচেক। চা ছেঁকে নিয়ে তাতে কয়েকটা তাজা পুদিনা পাতা দিন। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এতে আরাম পাবেন।

রসুনমিশ্রিত পানি : এক কাপ পানিতে ২-৩ কোয়া রসুন আর আধ চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ছেঁকে পান করলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

জোয়ান : মাঝারি আঁচে ফ্রাইং প্যান গরম করুন। এক মুঠো জোয়ান শুকনো প্যানে ভাজতে থাকুন। জোয়ানোর রং গাঢ় হলে এবং সুগন্ধ বেরোলে নামিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে এই ভাজা জোয়ান বেঁধে নাকের কাছে ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, যাতে এর গরম ভাপটা নাকের ভেতরে পৌঁছায়।

গোলমরিচ : হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়া এবং সামান্য সরিষার তেল দিন। আঙুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে। সেই সঙ্গে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সরিষার তেল নাকে দিয়ে টানলেও বন্ধ নাক খুলে যায় এবং নাক পরিষ্কার হয়।

গরম পানিতে গোসল : নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বন্ধ নাক খুলে যায়। এর পাশাপাশি, যতটা সম্ভব গরম পানীয় খেতে পারেন।

মাস্ক পরুন : শহরের দূষিত বাতাস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই।

তাজা ফলমূল খান: ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত তাজা ফলমূল খান।

ইউক্যালিপটাস তেল : বন্ধ নাক খুলতে কাজে লাগাতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। একটা বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন ভালোভাবে। তারপর গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে সেই ভাপটা নিন। মাথার ওপর থেকে টাওয়েল ঢাকা দিয়ে গরম পানি থেকে উঠতে থাকা বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ভাপ নেওয়ার সময় চোখ অবশ্যই বন্ধ রাখুন।

এ ছাড়াও বিশ্রাম নিন। প্রচুর তরল পান করুন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ